চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সাংবাদিকরা তো দেশের কথা বলে, মানুষের দুঃখ–কষ্ট তুলে ধরে। ঠিক তাই, তাদের কলমেই মানুষ ন্যায় পায়, সত্য প্রকাশ পায়। কিন্তু সেই কলমেই যদি কোনো নির্দোষ মানুষ দোষী হয়ে যায়, তখন আর তার করারই বা থাকে কী? তখন সেই কলমই হয়ে যায় অন্যায়ের অস্ত্র… আর সত্য হারিয়ে যায় শব্দের ভিড়ে,, চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা সংলগ্ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক হয়রানি ও একাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য— সরকার পরিবর্তনের পরও একটি বিশেষ চক্র সাংবাদিকদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন,সাংবাদিকরা দেশের চোখ ও বিবেক। তারা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখন কিছু সাংবাদিক টাকার বিনিময়ে সত্যকে বিকৃত করে মিথ্যাকে সত্য বানাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আমি দেশের আইনের যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।”
অন্যদিকে স্থানীয় হকার ও ব্যবসায়ীরা জানান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে কলার আড়তের ব্যবসা করে আসছেন। তারা বলেন, আমরা কখনও তাকে কারও কাছ থেকে চাঁদা নিতে বা কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেখিনি। এই নিউজটি তার মানহানি করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে করানো হয়েছে।
এছাড়া যেই বাজারের হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদটি করা হয়েছে, সেই বাজার কমিটির সভাপতি পর্যন্ত বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।
এ ঘটনায় মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিম সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

Reporter Name 








