মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ ডাঃ পি. কে. মজুমদার ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মেধার স্বাক্ষর রাখেন। যা প্রতিফলিত হয়েছে উনার স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত প্রথম স্থান অর্জন, এস.এস.সি ও এইস.এস.সি পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি। এই প্রতিতযশা চিকিৎসক ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান এন্ড সাজন থেকে এমসিপিএস, ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ডিসিএইস ডিগ্রি লাভ করেন, এছাড়াও তিনি ডক্টর অফ মেডিসিন এবং এফসিপিএস শিশুরোগের উপর অন্তর্ভুক্তি লাভ করেন, তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছর শিশুরোগের উপর বিভিন্ন হসপিটালে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।। ডায়াবেটিস, শিশু পুষ্টি, এবং শিশু পালমোলজীর উপর তিনি সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে চিকিৎসা পেশা শুরু করেন এবং ২০১৩ সাল থেকে অধ্যবধি উনি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োজিত আছেন। তার শিক্ষকতা জীবনে তিনি অনেক গ্রাজুয়েট ডক্টর এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডক্টর তৈরি করেছেন যারা এখন মানবসেবায় নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও তিনি YouTube চ্যানেল, Facebook পেজ ও প্রোফাইলের মাধ্যমে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের জন্য বিনামূল্যে লেকচার প্রদান করেন।চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি উনি যে সমস্ত সামাজিক ও মানব সেবামূলক কার্যক্রম করেছেন সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রামে শিশুদের জন্য সর্র্ প্রথম চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে শিশুদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি বহু ফ্রি হেলথ ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন বিশেষ করে খাদ্য-দুর্ভিক্ষ কবলিত এলাকায় যেখানে গরীব ও দুস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত চেম্বারেও দুঃস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি নিজ গ্রামে একটি চ্যারিটেবল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং দূরবর্তী রোগীদের জন্য তিনি ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা ও অনলাইন স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম YouTube চ্যানেল, Facebook পেজ ও প্রোফাইলের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছেন।”ঘরে বসে ডাক্তারী” নামে একটি রোগী সচেতনতামূলক সফটওয়্যার তৈরি করেছেন, যা BMA চট্টগ্রাম শাখা ও বাংলাদেশ টেলিভিশন (BTV) ঢাকা কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি গরিব ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ এবং পরীক্ষার ফিস প্রদান করে আসছেন। COVID-19 মহামারিতে করোনা যোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। মহামারির সময় একদিনের জন্যও চেম্বার বন্ধ করেননি, বরং প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন শিশু রোগীকে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বিভিন্ন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিজের ফেসবুক পেজে তাঁর এই মানবসেবার কাহিনি “করোনা যোদ্ধা” নামে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর মানব সেবার অবদানের জন্য উনাকে চট্টগ্রাম মানব কল্যাণ সংস্থা বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।এই মানবসেবার অন্যতম পথিকৃত ডা: পি. কে. মজুমদারের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা ওনাকে আরো বেশি মানবসেবার প্রতি দায়বদ্ধতা এনে দিয়েছেন। উনি ভবিষ্যতে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ করতে চান, তিনি এমন একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে চান যেখানে দুস্থ ও গরীব রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পাবেন, যারা রাতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমায় বা খাদ্যাভাবে থাকে, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছেন। তিনি যারা বৃক্ষাবৃত্তি করে তাদের পূর্ণবাসন এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছেন, এবং যারা রাতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমায় বা খাদ্যাভাবে থাকে, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছেন।এই সব পরিকল্পনার মাধ্যমে মানবকল্যাণে তিনি আরও বড় অবদান রাখতে চান। আপনাদের সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে তিনি মানবসেবার এই পথ পাড়ি দিতে চান।